বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় সরকারি খাল দখল করে বালু ভরাট এবং ভূমিহীন পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসতঘর ভাঙচুর করে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঘটনাটি বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামে, ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন বাদল এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন। জানা যায় কৃষকের পানি সেচের রাস্তা বন্ধ করে প্রভাবশালী কামাল হোসেন, সুলতান, রাজিব সহ ৫/৭ জন ব্যক্তি জোরপূর্বক খালটি দখল করে বালু ভরাট করে পানি চলাচল বন্ধ করে দেয়। সরকারি রাস্তার উপরে থাকা দুইটি ভূমিহীনদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অত্র এলাকার ভুক্তভোগীরা।
দোকান মালিক সালাউদ্দিন বাদল উল্লেখ করেন আমি ভূমিহীন আমার একমাত্র ছেলে সায়েম প্রতিবন্ধী এমতঅবস্থায় বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের জেএল নং ৬ কুমরাখালি মৌজার ফুলতলা নামক স্থানে সরকারি খাস খতিয়ানে এস এ ৩৬৬৩ নং ও বি এস ৪৮৮৩ নং দাগের ৪০ শতাংশ জমির মাথায় রাস্তার পাশে জীবিকা নির্বাহ এবং বসবাস করার জন্য দোকান ও বসতঘর নির্মাণ করি এখানে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস এবং ব্যবসা করে আসছি দোকান ও বসতঘর সংলগ্ন খাস খতিয়ান ভুক্ত ওই ৪০ শতাংশ জমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলের নামে বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য গত ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য সুপারিশসহ বরগুনা সদর সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবরে আবেদন করি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় করোনার কারণে স্থগিত হয়। এ সুযোগে অভিযুক্তরা আমার অনুপস্থিতিতে দোকান ও বসতঘর এ প্রবেশ করে ভাঙচুর করে নদীতে ফেলে দেয়। মালপত্রসহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে আমাকে সহ পরিবার-পরিজনকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে প্রতিপক্ষরা চলে যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাদলের বসতঘর ও দোকান নদীতে পড়ে আছে। ভুক্তভোগী বাদল ধরা গলায় বলেন আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু প্রতিপক্ষরা তছনছ করে দিয়েছে পৈত্রিক সূত্রে মাত্র ৫ শতাংশ জমি পেয়েছি তাও প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে বিক্রি করে ফেলেছি, এখন শ্বশুরের ঘরে থাকি উক্ত জমি তার প্রতিবন্ধী ছেলের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ সুলতান আহমেদ জানান ওই জমি সরকার ১৯৭০-১৯৭২ সালে আমাদের নামে বন্দোবস্ত দিয়েছে এবং কোর্ট থেকে আমাদের দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দখল নেয়ার জন্য দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।